বার্লিন (জার্মান: Berlin বেয়ালিন্) জার্মানির রাজধানী, এবং ইউরোপ মহাদেশের একটি ঐতিহাসিক শহর। বার্লিন শহরে ৩৪ লক্ষেরও বেশি লোক বাস করেন। শহরটি একাধারে একটি শহর এবং জার্মানির একটি রাজ্য। বার্লিনের আয়তন ৩৪৩ বর্গমাইল; এটির আয়তন প্যারিস শহরের প্রায় ৯ গুণ।
১৯৬১ সালে তৎকালীন পূর্ব জার্মানির সরকার বার্লিন প্রাচীর তৈরি করেন৷ এটি পশ্চিম বার্লিনকে পূর্ব বার্লিন এবং সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে৷
পূর্ব ব্লকের দাবি ছিল যে, সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র জিডিআরকে রক্ষায় এই দেয়াল তৈরি করা হয়েছে৷ ১৯৮৯ সালে অবশ্য পূর্ব জার্মানির শাসকদের পতন হয় এবং বার্লিন প্রাচীরও ভেঙে ফেলা হয়৷ এই প্রাচীরের পতনের ফলে দুই জার্মানির পুনরেকত্রিকরণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়৷ ১৯৯০ সালের ৩রা অক্টোবর আবারো এক হয়ে যায় দেশটি৷
বার্লিন চুক্তি
বার্লিন কংগ্রেসের ধারাঃ ১৮৭৮ সালের ১৬ জুন তারিখে বার্লিন কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। বার্লিন কংগ্রেসের চুক্তিতে উল্লিখিত ধারাসমূহ।
(ক) মন্টিনিগ্রো, সার্বিয়া এবং রুমানিয়া তুরস্কের অধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে পরিগণিত হবে।
(খ) সানস্টিফানো সন্ধি দ্বারা স্বীকৃত বৃহত্তর বুলগেরিয়াকে তিন অংশে ভাগ করা হলো- ম্যাসোডোনিয়া, পূর্ব রুমানিয়া ও বুলগেরিয়া। ম্যাসিডোনিয়া তুরস্ক সুলতানের অধীনে থাকল, বুলগেরিয়ার দক্ষিণাংশ রুমানিয়া নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করল। তবে সুলতানের অধীনে একজন খ্রিস্টান গভর্নর এ নতুন রাষ্ট্রের শাসন পরিচালনা করবেন বলে স্থির হলো। অবশিষ্টাংশ বুলগেরিয়া নামে পরিচিত হবে এবং তুরস্কের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র হবে।
(গ) তুর্কি সুলতান কর্তৃক রুমানিয়ার স্বাধীনতা স্বীকৃত হলো।
(ঘ) রাশিয়া পেল বেসারাবিয়া, বার্টুম, কার্স ও আর্মেনিয়ার কিছু অংশ এবং বেসারাবিয়ার ক্ষতিপূরণস্বরূপ রুমানিয়াকে দবরূজা ছেড়ে দিল।
(ঙ) ইউরোপের শান্তি বজায় রাখার জন্য বসনিয়া ও হারজেগোভিনাকে অস্ট্রিয়ার অধীনে রাখা হলো।
(চ) রাশিয়া যতদিন বাটুর্ম ও কার্স তার শাসনাধীনে রাখবে, ততদিন পযর্ন্ত সাইপ্রাস দ্বীপের শাসনভার ইংল্যান্ডের হাতে দেওয়া হলো। তুরস্ক সাইপ্রাস দ্বীপের উদ্বৃত্ত রাজস্ব পাবে।
(ছ) ভবিষ্যতে তিউনিস অধিকারের অনুমতি ফ্রান্সকে দেওয়া হলো।